ফেসবুক-টুইটার-ইনস্টাগ্রামের মতো সোশ্যাল মিডিয়ার ঘুরে বেড়ান না আজকাল এমন জেন ওয়াই মেলা ভার! ট্রেনে-বাসে- ঘাড় ঘোরালেই দেখা যায় ফেসবুকে মুখ ডুবিয়ে রয়েছে কচিকাঁচারা।
ছবিতে ছবিতে ছয়লাপ ফেসবুক-ইনস্টাগ্রামের পাতার পর পাতা। তা সে কলেজ পার্টিতে হুল্লোড়ের ছবিই হোক বা জন্মদিনের আনন্দঘন মুহূর্ত। সবকিছুই ভার্চুয়াল ওয়ার্ল্ডে ভাগ করে নিতে চায় তাঁরা।
তবে সোশ্যাল মিডিয়ায় এহেন পোস্টের বিপদও রয়েছে। কী পোস্ট করবেন আর করবেন না, তা নিয়ে কয়েকটি গাইডলাইন রইল গ্যালারির পাতায়।
নিজেকে কে না ভালবাসে!। তবে সোশ্যাল মিডিয়ার কখনই নিজের নগ্ন ছবি পোস্ট করবেন না। অনেকেই বেড়াতে যাওয়ার কথা ফেসবুকে জানিয়ে দেন। সেটা অবশ্যই করুন। তবে ভুলেও নিজের ট্রেন বা প্লেনের টিকিটের ছবি বা তার খুঁটিনাটি আপলোড করবেন না।
সাইবার ক্রাইম বিশেষজ্ঞদের মতে, হ্যাকারদের হাতে আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পড়লে বিপদে পড়তে পারেন।
প্লে-স্লিপ, ক্রেডিট কার্ড বা টাকাপয়সার কোনও ছবি পোস্ট করা থেকে বিরত থাকুন।
ফেসবুক বা টুইটারের মতো সাইটে নিজের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সম্পর্কিত তথ্যও জানাবেন না।
লটারিতে ভাগ্য খুলেছে? সে খবর সোশ্যাল মিডিয়ায় জানাতে তর সইছে না? তা করুন! তবে আনন্দে আটখানা হয়ে লটারির টিকিটের ছবি আবার পোস্ট করতে যাবেন না। টিকিটের গায়ে থাকা বারকোড স্ক্যান করে আপনার টাকা হাতিয়ে নিতে পারে সাইবার অপরাধীরা।
অফিসের গুরুত্বপূর্ণ ইমেল বা তথ্য কখনই সোশ্যাল মিডিয়ার প্রকাশিত করবেন না। সহকর্মীর সঙ্গে মন কষাকষির কথাও ফেসবুকের পাতায় ফলাও করে জানাবেন না। এতে উৎসাহ পেতে পারে আপনার সংস্থার প্রতিপক্ষ।
বার্থ সার্টিফিকেটের মতো সরকারি নথির ছবি কখনই পোস্ট করবেন না। আপনার পরিচয় সংক্রান্ত
তথ্য হাতিয়ে নিয়ে ড্রাইভার লাইসেন্স বা পাসপোর্ট বানিয়ে নিতে পারে অপরাধীরা।
নিজের লেখা কবিতা বা গল্প সোশ্যাল মিডিয়ার অনেকেই পোস্ট করেন। তবে তা না করাই ভাল। কপিরাইট না থাকায় আপনার লেখা নিজের বলে দাবি করতে পারেন যে কেউ।
অনলাইনে বাচ্চাদের ছবি শেয়ার করার আগে সাবধান হোন। সাইবার বিশেষজ্ঞদের মতে, ছবি বিকৃত করে তা কাজে লাগাতে পারে অপরাধারীরা।
প্রতিক্ষণ/এডি/তাজিন